বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এশিয়ান কাপ নিশ্চিত হয়েছে এক ম্যাচ আগেই। আজ তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। এই ম্যাচে হারলেও বাংলাদেশের এশিয়া কাপ খেলায় কোনো বাধা ছিল না। তবে বাংলাদেশ ৭-০ গোলের বড় জয় নিয়েই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মিশন শেষ করেছে।
প্রথমার্ধেই ৭-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার ধরে রাখলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি তারা। ফলে আগের সর্বোচ্চ জয়, ২০১০ সালে ভুটানের বিপক্ষে ৯-০ গোলের রেকর্ড অক্ষত থাকল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী খেলতে থাকে লাল-সবুজের মেয়েরা। ৩ মিনিটেই স্বপ্না রানীর গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। এরপর ৬ ও ১৩ মিনিটে জোড়া গোল করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। ১৬ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে আরও তিনটি গোল আসে: ১৬ মিনিটে মনিকা চাকমা, ১৭ মিনিটে ঋতুপর্ণা ও ২০ মিনিটে তহুরা খাতুনের পা থেকে। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগে ঋতুপর্ণা নিজের দ্বিতীয় ও দলের সপ্তম গোলটি করেন।
তুর্কমেনিস্তান প্রথমার্ধে দিশেহারা থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যদিও পুরো ম্যাচে তাদের খেলায় শুরুর স্কুল-স্তরের দুর্বলতাই বেশি চোখে পড়েছে। বিশেষ করে তাদের গোলকিপারের এক হাস্যকর ভুলে ঋতুপর্ণা চাকমার শটে হজম করা গোলটি ছিল ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্তগুলোর একটি।
উল্লেখ্য, এই জয়সহ গ্রুপে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এবং গ্রুপে রানার্সআপ হয়েছে স্বাগতিক মিয়ানমার, যারা আজ শেষ ম্যাচে বাহরাইনকে হারিয়েছে ৬-০ গোলে।
বাংলাদেশ দল আগামীকাল বিকেলে মিয়ানমার থেকে রওনা হবে। মধ্যরাতে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। বাফুফে গভীর রাতেই নারী ফুটবলারদের সম্মাননা জানানোর পরিকল্পনা করছে।
আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হবে নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্ব। সেখানে ১২ দলের মধ্যে প্রথম ছয়ে থাকলেই ২০২৭ নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ মিলবে। সেরা আটে থাকলে সুযোগ থাকবে আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলে বিশ্বকাপে যাওয়ার। বাংলাদেশের মেয়েদের এমন দুর্দান্ত অর্জন নারী ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিয়েছে।